Department of Agricultural Marketing-কৃষি বিপণন অধিদপ্তর

কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কৃষিপণ্যের গ্রেডিং, সর্টিং, প্যাকেজিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

কৃষক, বিক্রেতা ও ভোক্তার কল্যাণে গঠিত সংগঠনটির ভিশন হচ্ছে, উৎপাদক, বিক্রেতা ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ব্যবস্থা এবং কৃষি ব্যবসা উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা।

এক নজরে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূল কার্যাবলীঃ

🧑‍🌾কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা;
🧑‍🌾কৃষিপণ্যের মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
🧑‍🌾কৃষক ও কৃষিপণ্যের বাজার সংযোগ সৃষ্টি ও সুষ্ঠু সরবরাহের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান;
🧑‍🌾কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণন ও ব্যবসা সম্পর্কিত অর্থনৈতিক গবেষণা পরিচালনা;
🧑‍🌾কৃষিপণ্যের আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ।
🧑‍🌾সুষ্ঠু বিপণনের স্বার্থে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো, গুদাম, হিমাগার, কুলচেম্বার, ইত্যাদি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণ।
🧑‍🌾কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের গুরত্বপূর্ণ সেবাসমূহ:

🧑‍🌾নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের খুচরা মূল্য সহনীয় রাখতে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
🧑‍🌾২০২১-২০২২ অর্থবছরে শস্যগুদামে কৃষকদের ৩৯০২ মেঃটন শস্য জমার বিপরীতে ৫০১.৪৮ লক্ষ টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান।
🧑‍🌾নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের বাজারদর সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে যৌথভাবে প্রায় ২৭১৯টি মোবাইল কোট/ বাজার মনিটরিংয়ে অংশগ্রহণ।
🧑‍🌾অধিদপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের দৈনিক খুচরা বাজারদর স্ক্রল আকারে প্রকাশ।
🧑‍🌾শসা, বেগুন, পেঁপে, টমেটো, সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, আলু, গাজর, মুলা, গম, তামাকসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ ও মূল্য বিস্তৃতি প্রতিবেদন প্রকাশ।
🧑‍🌾নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের সাথে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা।
🧑‍🌾২০২১-২২ অর্থবছরের লাইসেন্স ও ৮২টি বাজার হতে মোট ২,৪৯,৯১,৮০০/- টাকার নন-ট্যাক্স রেভিনিউ সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ:

🧑‍🌾কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে সরাসরি কৃষকের অংশগ্রহণে ঢাকাস্থ মানিক মিয়া এভিনিউতে একটিসহ সারদেশের ৪২টি জেলায় কৃষকের বাজার চালু করা হয়েছে;
🧑‍🌾কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মাঠ পর্যায়ের ৬৪টি জেলা অফিস ও ৪টি উপজেলা অফিস হতে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে পাইকারী, খুচরা ও কৃষকপ্রাপ্ত বাজারদর সংগ্রহ ও সংকলনপূর্বক ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যমে ৬০,৮৭০ টি বাজার তথ্য ১২,০৬৫টি বুলেটিন ও ৯১০টি প্রতিবেদন আকারে প্রচার করা হয়েছে।
🧑‍🌾অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিক, প্রশাসনিক, বিপণন, বাজার তথ্য, আইসিটি ইত্যাদি বিষয়ে সর্বমোট ৭০৯ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ১২০ ঘন্টা অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
🧑‍🌾কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ৯৫,০০০ জন কৃষক/উদ্যোক্তা/বাজারকারবারী/সুপারশপ প্রতিনিধি/বাজার কমিটির সদস্যগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
🧑‍🌾বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অধীনে ৩৫টি মোটিভেশনাল ট্যুরে প্রায় ২৫০০ জন কৃষক/কৃষি ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে।
🧑‍🌾কৃষকদের বিপণন অবকাঠামো সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় ৬টি এসেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ সকল এসেম্বল সেন্টারে কৃষক ও ব্যবসায়ী সরাসরি পণ্য বিক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে।

কৃষক যেনো তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় এবং ক্রেতা সাধারণ যাতে সহজ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারে সেই লক্ষ্যে কৃষি বিপনন অধিদপ্তর একটি অনলাইনভিক্তিক সফটওয়্যার ডেভলপ করতে যাচ্ছে। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে, সকল ধরণের কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস, অনলাইনভিক্তিক সফটওয়্যারটির কার্যক্রম শুরু হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের কৃষি উন্নয়ন ব্যতীত সার্বিক সফলতা বা আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন অসম্ভব। কৃষির উন্নয়ন ও গুণগত উৎপাদন বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার প্রধান ও অপরিহার্য শর্ত হলো উন্নত ও দক্ষ বিপণন ব্যবস্থা। কারণ, উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে কৃষক, পাইকার এবং খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলে একদিকে যেমন কৃষক লাভবান হবে তেমনি ভোক্তাও সঠিক মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারবে। আর এই উদ্দেশ্যেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।